এক 
কতদিন ঠিক মনে নেই, তবে বছর দু’তিনের বেশী নয়, একজন সাংবাদিক একটি ফিচার লিখেছিলেন ;-দিল্লী সম্পর্কে ফিচার – তাতে তিনি লিখেছিলেন একটি বিবিত্র চরিত্র মোহিনী নারী সম্পর্কে।
দিল্লী আজকাল আর অনেক দূর নয়, সাংবাদিকদের কাছে তো নয়ই ; তাঁদের কাছে আজ মস্কো পিকিং লণ্ডন নিউইয়র্ক সপ্তাহে সপ্তাহে যাওয়া চলে ; দিল্লী আজ এবেলা গিয়ে ওবেলা কনট প্লেসে ঘুরে বেড়ানো সম্ভবপর। এবং দিল্লীর কাছে—কলকাতার কথা থাক— বোম্বাই শহর রোমাঞ্চকর সংবাদ এবং রোমাঞ্চ সংবাদের কেন্দ্রবিন্দুতে এই বিচিত্র চরিত্র নারীর অস্তিত্ব সম্পর্কে হার মেনে যায়।
রূপে এবং সজ্জায় হয়তো বোম্বাই শহরের মনোহারিণীরা দিল্লীর কাছে হার মানবেন না কিন্তু চরিত্রবৈচিত্র্যে হার মানতেই হবে বোম্বাইকে। কারণ রাজধানী দিল্লীর পার্লামেন্ট হাউস থেকে চাণক্যপুরী পর্যন্ত যে প্রসারিত ক্ষেত্র— সে ক্ষেত্রে যে বর্ণাঢ্য বৈচিত্র্য ! তা শুধু আর্থিক সমৃদ্ধিতে উর্বর বোম্বাই-ক্ষেত্রে কখনও ফোটে না। ওর জন্যে প্রয়োজন হয় রাজনীতির রাসায়নিক সার প্রয়োগের
যাক গল্পটা মনে করিয়ে দি। এই সাংবাদিক কুতুবের ওখানে একটি ইউরোপীয় ভ্রমণকারীর সঙ্গে ঘুরছিলেন। ওদেশের রুজ লিপস্টিক মাখা মুখ, আঁকা ভুরু; চোখে কাজল, কেটে ফেলে ছোট করা খুকী বয়েসী কেশসজ্জা – তার সঙ্গে পেটকাটা ব্লাউস- ভারতীয় মনোহারিণী শাড়ি বাংলার ঢঙে পরা পায়ে চপ্পল, মুখে সিগারেট একটি মহিলা। বয়স ত্রিশ বা পঁয়ত্রিশ। একেবারে আবদেরে খুকীর মত সাহেবের কাঁধে ঝুলেই ঘুরছিলেন একরকম। এমন বেশভূষা…
যতিভঙ্গ
তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
বুক ব্যাঙ্ক
২৮, মদন মোহন বসাক রোড
ঢাকা – ১
প্রথম পাকিস্তানী সংস্করণ : ফাল্গুন – ১৩৬৮
“For sale and circulation in Pakistan only” “কেবলমাত্র পাকিস্তানে বিক্রয় ও বিতরণের জন্য”
বুক ব্যাঙ্কের পক্ষে এ, কে, খান কর্তৃক প্রকাশিত। মুদ্রাকর এম. চৌধুরী, রিপাবলিক প্রেস, २, কবিরাজ লেন, ঢাকা-১
প্রচ্ছদ অঙ্কনে : আবদুর রউফ
মূল্য : তিন টাকা
 
						 
																					
 
		
		
		
	 
		
		
		
	 
		
		
		
	