সংকলকের ভূমিকা
ডাঙ্গে, রণদিভে, ভারতের কমিউনিস্ট আন্দোলনের আর এমন একজন শীর্ষস্থানীয় নেতার নাম করা যাবে না যিনি শত্রুর হাতে বিপ্লবের জন্য, মানুষের মুক্তির জন্য প্রাণ দিয়েছেন। মুজফফর আমেদ নন, অজয় ঘোষ, রাজ্যেশ্বর রাও, নাম্বুদ্রিপাদ কেউই নন। চারু মজুমদারই ছিলেন প্রথম শীর্ষস্থানীয়’ একজন নেতা যিনি কারার ঐ লৌহ- কপাটের অন্তরালেও নয়, খোদ পুলিশ প্রশাসনের হেড কোয়ার্টাসেই প্রাণ দিয়েছেন ২৮শে জুলাই, ১৯৭২-এ। ধরা পড়ার মাত্র এগার দিনের মাথায় ৷ তাঁর মৃত্যু আজও রহস্যাবৃত। মারা যাবার সময় তাঁর বয়েস হয়েছিল ৫৪ বছর। বেশ কয়েকটি রাজ্য সরকার তাঁর মাথার দাম ধরেছিল প্রত্যেকে ১০ হাজার টাকা করে। কার্ডিয়াক অ্যাজমা নিয়ে প্রায়শই মুখ দিয়ে রক্তক্ষরণ হোত—অক্সিজেন সিলিণ্ডার ও পেথিড্রিন ইঞ্জেকশনসহ দুঃসহ আণ্ডার গ্রাউণ্ড জীবন কাটিয়েছেন তিনটি বছর।
সিপিআই (এম-এল) পার্টি গঠনের মাত্র তিন বছরের মধ্যে তাঁর নাম জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে আলোড়ন সৃষ্টি করে এবং গত দু’দশক ধরে গোদাবরী, খাম্মাম, ওয়ারাঙ্গাল, পালামৌ, জেহানাবাদ, ভোজপুর, বস্তারে অর্থাৎ ভারতের গ্রামাঞ্চলে তাঁর রাজনীতিকেই ভিত্তি করে গড়ে উঠছে সশস্ত্র আন্দোলন। তাঁর ৩০ বছরের রাজ- নৈতিক জীবনের শেষভাগে বিপ্লবের আহ্বানে সাড়া দিয়ে প্রাণ দিয়েছেন ভারতের অসংখ্য তরুণ ছাত্র-যুব-কৃষক ও শ্রমিক। কিরকম ছিলেন সেই মানুষটি ? তাঁর জীবনের পরতে পরতে কোন বোধ, চেতনা, আকাঙ্খা ও স্বপ্ন কাজ করেছিল ? বর্তমান ব্যবস্থার পক্ষে…
অন্তরঙ্গ চারু মজুমদার
সংকলক : অমিত রায়
র্যাডিক্যাল ইম্প্রেশন
80 বেনিয়াটোলা লেন, কলিকাতা
ANTARANGA CHARU MAJUMDAR
-A Biographical Sketch
Compilation: AMIT ROY
প্রথম প্রকাশ : জানুয়ারী ১৯৮৯
মূদ্রক ও প্রকাশক : অরুনকুমার হেঁস
র্যাডিক্যাল ইম্প্রেশন
৪৩ বেনিয়াটোলা লেন, কলিকাতা
দাম : আট টাকা
