আজকের গণচীনে কি ঘটছে ?
আজ থেকে প্রায় দুই দশক আগে চীনের সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের সাফল্যে সারা পৃথিবীর জনগণ উল্লসিত হয়েছিল।
পঞ্চাশ বছর আগে সংঘটিত রুশ সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের সাফল্যের পরে এটাই ছিল দ্বিতীয় বৃহত্তম সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত বিজয়ের ফলে একটি মাত্র দেশ থেকে চৌদ্দটি দেশে অর্থাৎ পৃথিবীর এক- তৃতীয়াংশেরও বেশী লোকের মধ্যে যে সমাজতন্ত্র কায়েম হয়, এ বিপ্লব ছিল সে উদ্দীপনাময় অগ্রগতিরই একটি অংশ।
দেশে দেশে জাতীয় মুক্তি আন্দোলন এবং শ্রমিক শ্রেণীর আন্দোলনের অগ্রগতির পাশাপাশি সমাজতান্ত্রিক দুনিয়ার শক্তি ও ঐক্যের এই জয়যাত্রা এক উজ্জ্বল আশার সূচনা করেছিল।
১৯৫৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত অষ্টম কংগ্রেসের রাজনৈতিক রিপোর্টে চীনের কমিউনিষ্ট পার্টি ঘোষণা করে : “লক্ষ্যের অভিন্নতা ও পারস্পরিক সাহায্যের ভিত্তিতে চীন, মহান সোভিয়েট ইউনিয়ন ও অন্যান্য সমাজতন্ত্রী রাষ্ট্রের মধ্যে যে ঐক্য ও বন্ধুত্ব স্থাপন হয়েছে, তা অবিচ্ছেদ্য ও চিরস্থায়ী। এ একতা ও বন্ধুত্বকে আরও সংহত ও শক্তিশালী করাই হলো আমাদের সর্বোচ্চ আন্তর্জাতিক কর্তব্য এবং সেটাই আমাদের পররাষ্ট্র নীতির ভিত্তি।” ( লিউ শাও-চি, ৮ম কংগ্রেসে প্রদত্ত রাজনৈতিক রিপোর্ট, সেপ্টেম্বর ১৯৫৬ )।
এই নিবন্ধের রচনাকাল পর্যন্ত চীনের কমিউনিষ্ট পার্টির সর্বশেষ কংগ্রেসের এটাই ছিল ঘোষণা। এখানে উল্লেখযোগ্য যে, এ কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হয়েছিল সোভিয়েট কমিউনিষ্ট পার্টির বিংশতিতম কংগ্রেসের পরে এবং এ কংগ্রেসেই ক্ষতিজনক ব্যক্তি- পূজার অবসান ঘটিয়ে পার্টিতে গণতান্ত্রিক কর্মপদ্ধতিকে জোরদার করার ও শান্তিপূর্ণ সহ-অবস্থানের জন্য বিংশতিতম কংগ্রেসে প্রস্তাবিত মহান লক্ষ্যগুলি সুনির্দিষ্টভাবে .অনুমোদন করা হয়।
তারপরেই যেন কি হয়ে গেল ! চীনের কমিউনিষ্ট পার্টি ও সরকারের বিভিন্ন ঘোষণা ও কার্যাবলীতে ক্রমশঃ কি এক বিচিত্র ধারা প্রকাশিত হতে থাকলো। অষ্টম কংগ্রেসের পর গত দশ বছরে আর কোন কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হল না ; যদিও পার্টির নিয়ম অনুযায়ী প্রতি পাঁচ বছরে তা হবার কথা। অষ্টম কংগ্রেস…
গণচীন কোন পথে ?
রজনী পাম দত্ত
মুক্তধারা প্রকাশনী
১৪, বাংলা বাজার (দোতলা) ঢাকা-এক
প্রথম প্রকাশ : শ্রাবন ১৩৭৪
প্রকাশক : মো, সো, হোসেন
১৪, বাংলা বাজার, ঢাকা-এক
ক্ষুদ্রক : এস, রহমান
গ্রীনল্যাণ্ড প্রেস
২৪, মোহিনী মোহন দাস লেন, ঢাকা-এক
দাম : এক টাকা
