সেদিন ১৪ ডিসেম্বর, ১৯৩১ সাল। সকাল দশটা। স্বাভাবিকভাবেই চলছিল শহরের সমস্ত কাজ। কোথাও কোনো হট্টগোল ছিল না। স্কুলে অনুষ্ঠান আছে বলে শাড়ি পড়ে চাদর জড়িয়ে ছদ্মবেশে বের হয়েছিলেন শান্তি ও সুনীতি। সঙ্গে ছিল .৪৫ ক্যালিবারের রিভলবার এবং .২২ ক্যালিবারের রিভলবার। স্টিভেন্সের বাংলোতে ঢোকার কৌশল হিসেবে ছিলÑ কুমিল্লার সাঁতার প্রদর্শনীর একটি অনুমতি পত্র। সাঁতার প্রদর্শনীর অনুমতি পত্র দেখিয়ে বিনা বাধায় তাঁরা প্রবেশ করলেন স্টিভেন্সের রুমে। মি. স্টিভেন্স ফের এসে হাজির হলো তাঁদের সামনে।
একই সঙ্গে দু’জনের রিভলবার গর্জে উঠলো। রিভলবারের গুলি লাগার পর মি.স্টিভেন্স ঘরের ভেতর ছুটলেন। বাঙালি এস. ডি. ও. সাহেবও দৌড়ে ঘরের ভেতর ঢুকে পড়লেন।
এস. ডি. ও. সাহেব তারস্বরে চিৎকার করে বললেন, “পাকড়ো, পাকড়ো!”
সঙ্গে সঙ্গে লোকজন এসে শান্তি আর সুনীতির হাত থেকে রিভলবার দু’টি ছিনিয়ে নিলো। তারপর দু’জনকে গরুর দড়ি দিয়ে পিছমোড়া করে বেঁধে ফেললো। শুরু হলো পাইকারি হারে লাথি, ঘুষি, কিল, চড়। দেহতল্লাশির সময় তাঁদের পরনের শাড়ি খুলে নেওয়া হলো। 
কুমিল্লার জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে হত্যার অপরাধে সুনীতি ও শান্তির যাবজ্জীবন কারাদ- হল। তাঁদের যেতে হল জেলে। শান্তি ও সুনীতি দেশের জন্য সাতটা বছর কারাগারে কাটিয়েছিলেন। এ কারাগারে বসেই শান্তি দাশ লিখেছিলেন, তাঁদের বিপ্লবী জীবনের ইতিহাস। যা পরবর্তীতে ‘অরুণ বহ্নি’ নামে প্রকাশিত হয়েছিল। 
অরুণ-বহ্নি
শান্তি দাশ
প্রকাশক : বিপ্লবীদের কথা প্রকাশনা
২ কমরেড মণি সিংহ সড়ক, মুক্তিভবন নিচতলা
(কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়) পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০
সেল: ০১৭২৬-১২৩৫৫০,
প্রথম প্রকাশ : ০৫ ডিসেম্বর ২০১৩
প্রচ্ছদ : মেহেদী বানু মিতা
মূল্য : দুইশত টাকা
ই-বুক মূল্য : ৩০ টাকা
 
						 
																					
 
		
		
		
	 
		
		
		
	 
		
		
		
	