এশিয়ার একটি বৃহৎ দেশ ভারতবর্ষ। প্রাচীন তার সংস্কৃতি, ঐতিহাসিকভাবে গড়ে ওঠা তার সামাজিক অবস্থার বৈচিত্র্য অসাধারণ, ঔপনিবেশিকতার যূপকাষ্ঠে পতিত প্রথম দেশগুলির অন্যতম এবং ঔপনিবেশিকতার বিরুদ্ধে সংগ্রামে প্রথম উত্থিতদেরও অন্যতম। তাই সঙ্গত কারণেই বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতারা, কার্ল মার্কস, ফ্রেডারিক এঙ্গেলস, ভøাদিমির ইলিচ লেনিনের একাগ্র মনোযোগ তা আকর্ষণ করেছে। ভারতের ঐতিহাসিক নিয়তি তাঁদের কাছে ছিল প্রাচীন থেকে আধুনিক কাল পর্যন্ত মানবজাতির গোটা ইতিহাসের একটা গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। অতীতে ভারতের বিপুল ভূমিকার দিকে অঙ্গুলি নির্দেশ করেছেন তাঁরা, কার্ল মার্কস ভারতকে বলেছেন ‘আমাদের ভাষাসমূহ, আমাদের ধর্মের সূতিকাগার’। পুঁজিবাদের যুগে ভারতের ঔপনিবেশিক দাসত্বের স্বরূপ তাঁরা মোচন করেছেন নিমর্মভাবে, ভারতীয় জনগণের উদীয়মান মুক্তিসংগ্রামকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করলেন, মুক্তির পথে তার প্রতিটি নতুন পদক্ষেপে আনন্দিত হয়েছেন। সমস্ত শোষণ ও পীড়ন থেকে মুক্ত নতুন সমাজব্যবস্থা গড়ার জন্য, সমাজতন্ত্রের জন্য সংগ্রামে, লেনিনের উক্তিতে, ‘মানবজাতির বিপুল অধিকাংশের’ সাধারণ সংগ্রামের গতিপথে ভারতের আসন্ন নবজাগৃতির নিশ্চিত ভবিষ্যদ্বাণী করে গেছেন।
লেনিন ও ভারতবর্ষ
এ. কমারোভ
ঐতিহাসিক সমীক্ষা
রুশ থেকে অনুবাদ : ননী ভৌমিক
বাংলা অনুবাদ : প্রগতি প্রকাশন
প্রকাশকাল : ১৯৭৫
২১, জুবোভস্কি বুলভার 
মস্কো, সোভিয়েত ইউনিয়ন
 
						 
																					
 
		
		
		
	 
		
		
		
	 
		
		
		
	