১৯৩৯ সালের ২৪শে ফেব্রুয়ারী, আমওয়ারী সত্যাগ্রহে অংশ গ্রহণ করার সময় জমিদারের সশস্ত্র গুণ্ডাবাহিনীর আক্রমণে রাহুল আহত হয়ে গ্রেপ্তার বরণ করেন। প্রথমে সিওয়ান জেলে, পরে দড়ি বেঁধে রাহুলকে ছাপরা জেলে আনা হয়। সেইখানে ১৪ই মার্চ ‘তুমহারী ক্ষয়’ লিখতে শুরু করেন এবং বিভিন্ন দাবী নিয়ে অনশন ধর্মঘটের তৃতীয় দিনে, ২০শে মার্চ রচনাটি শেষ করেন। প্রচলিত সামাজিক সম্পর্ক ও শোষণ ব্যবস্থাকে পরিবর্তন করতে না পারলে নতুন মানব ‘সমাজ’ গড়ে তোলা সম্ভব নয়। রাহুল এই ছোট্ট বইটির মধ্য দিয়ে গভীর ক্ষোভের সঙ্গে, জ্বলন্ত ভাষায় দেশাচারের নামে প্রচলিত অন্যায় ধ্যান-ধারণাকে তীব্র -কষাঘাতে জর্জরিত করেছেন, এবং সেই সঙ্গে এর ধ্বংস কামনা করেছেন ।
গ্রন্থশেষে রাহুলের জীবনযাত্রার পরিচয় সংক্ষেপে বর্ণনা করা হয়েছে।
কোনরূপ কৃতজ্ঞতার অপেক্ষা না রেখেই ডঃ মহাদেব প্রসাদ সাহা অনুবাদ আদ্যোপান্ত দেখে দিয়েছেন ও বন্ধুবর নন্দলাল বইটা প্রকাশের ব্যাপারে সব রকম “সহায়তা করেছে। বাঙলায় প্রকাশ করার অনুমতি দেবার জন্য শ্রদ্ধেয়া কমলা সাংকত্যায়নকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই ।
– শম্ভুনাথ দাস
১ই এপ্রিল, ১৯৬৮
নতুন মানব সমাজ
রাহুল সাংকৃত্যায়ন
অনুবাদ ও রাহুল জীবনী- শম্ভুনাথ দাস
প্রকাশনা : এম, আবদুল হক
প্রকাশ ভবন
৫. বাংলা বাজার, ঢাকা–১
মুদ্রণ : মীর আবুল হাসেম
মীরকো প্রেস, ৫৪ নথব্রুক হল রোড, ঢাকা-১
পূর্ণমূদ্রণঃ মে-১৯৮৩
দাম : সাদা : কুড়ি টাকা
নিউজ : বার টাকা পঞ্চাশ পয়সা
 
						 
																					
 
		
		
		
	 
		
		
		
	 
		
		
		
	