কার্য-কারণ (হেতুবাদ)
দ্বন্দ্বাত্মক বস্তুবাদ দর্শন নয়, তাহাকে বিজ্ঞানের অধীন বলাই সঙ্গত। কারণ দ্বন্দ্বাত্মক শস্ত্রবাদের যাহা শক্তি তাহা আসিয়াছে বিজ্ঞানের নিকট হইতে। তবুও প্রচলিত দর্শন ও দার্শনিকদের বিরোধিতায় ইহাকে দর্শন নিশ্চয়ই বলা যায়। দ্বন্দ্ব্বাত্মক বস্তুবাদকে প্রচলিত তর্কশাস্ত্রের সাথে এক পর্যায়ে ফেলা যায় না, কারণ তাহা মস্তিষ্কের কসরতের বদলে প্রয়োগের উপরে জোর দেয়; বাস্তব জগতের যথার্থ স্থিতিকে চরম প্রমাণ এবং সত্যের সর্বশ্রেষ্ঠ মাপকাঠি বলিয়া মনে করে। তথাপি তাহাকে যেমন প্রচলিত দর্শন খণ্ডনের জন্য দর্শনের ভাষার জবাব দিতে হয় তেমনি বিরোধী-তর্কের জনক প্রয়োগ হাতিয়ারকে ব্যর্থ করার জন্য তর্কের জনক প্রয়োগরূপ অস্ত্র ব্যবহার করিতে হয়। সেই জন্য কার্য-কারণ তথা হেতুবাদ সম্বন্ধে দ্বন্দ্বাত্মক বস্তুবাদের দৃষ্টিকোণ কি তাহা পরিষ্কার করিয়া বলা দরকার।
বৈজ্ঞানিক বস্তুবাদ
রাহুল সাংকৃত্যায়ন
অনুবাদ : এস এন মজুমদার
প্রকাশনা : এম, আবদুল হক
প্রকাশ ভবন
৫, বাংলা বাজার, ঢাকা-১
মুদ্রণ : গহর আহমদ
পূবালী প্রেস, ১০ বাসাবাড়ী লেন, ঢাকা-১
প্রচ্ছদপট : হারাধন বর্মণ
প্রথম প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী-১৯৭১
পুনর্মুদ্রণ : এপ্রিল, ১৯৭৩
দামঃ ৫ টাকা ৫০ পয়সা
