0.00 নার্কসবাদের অপব্যবহার বর্তমানে বাংলাদেশে একটা সুস্পষ্ট ধারার পরিণত হয়েছে। আমাদের বুদ্ধিজীবীদের একটা অংশ কিছুকাল যাবত নিজেদের নার্কসবাদী বলে বলে দাবি করতে শুরু করেছেন। এঁদের প্রচেষ্টাকে নিষ্ঠাহীন বলা ঠিক হবে কিনা জানি না, কিন্তু ঐকান্তিকতার কোনো লক্ষণও এঁদের মধ্যে দেখি না। মার্কসবাদের জটিল ও অভিনব যুক্তিবিদ্যা, চিন্তাধারা ও দৃষ্টিভঙ্গি আয়ত্ত করার জন্যে যে পরিমাণ আয়াস ও শ্রম ব্যয় করা দরকার তা এঁদের ক্ষেত্রে দেখা যায় না।
বর্তমানে সারা পৃথিবীতে ও এদেশে মার্কসবাদী দর্শন এমন গুরুত্ব, সম্মান ও স্বীকৃতি অর্জন করেছে যে বাংলাদেশে নিজেকে মার্কসবাদী বলে পরিচয় দিয়ে অনায়াসে নাম কেনার লোভ সংবরণ করা কঠিন (বিশেষত, এ যাবৎ আমাদের বুদ্ধিজীবীরা স্বকীয় চিন্তার ক্ষেত্রে যে নৈরাশ্যজনক ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন সে পটভূমিতে বিচার করলে)। এ চিন্তা থেকে কেউ মার্কসবাদী হলে তাকে বড় জোর ‘নিরীহ নিষ্ঠাহীন’ বলা চলে। আর, বাংলাদেশে মার্কসবাদের প্রসার- রোধকল্পে যদি কেউ মার্কসবাদের ভেক ধারণ করেন তবে তাঁকে প্রতিক্রিয়াশীল ও চক্রান্তকারী বলে ঘোষণা করা ছাড়া গত্যন্তর থাকে না। বিনা প্রমাণে এমন অভিযোগ আনা সমীচীন নয় কিন্তু এ তথাকথিত মার্কসবাদীরা যেভাবে নার্কস- বাদের নামে খণ্ডিত, যান্ত্রিক ও প্রতিক্রিয়াশীল বক্তব্য উপস্থিত করেছেন তাতে নানা প্রকার সন্দেহ স্বভাবতই মনে উদিত হয়। যেমন, উক্ত ‘মার্কসবাদীরা ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, রামমোহন রায়, রবীন্দ্রনাথ, বঙ্কিমচন্দ্র, শরৎচন্দ্র প্রমুখকে…
শরৎচন্দ্র ও মানবতাবাদ
আবদুল হালিম
প্রকাশক : মফিদুল হক
জাতীয় সাহিত্য প্রকাশনী
১০ পুরানা পল্টন, ঢাকা-২ 
মুদ্রক : এ্যাবকো প্রেস
৬-৭ আওলাদ হোসেন লেন, ঢাকা-১
প্রচ্ছদ : আবদুল মুকতাদির
প্রথম প্রকাশ : ২১ ফেব্রুয়ারী ১৯৮০, ৮ ফাল্গুন ১৩৮৬
মূল্য : পাঁচ টাকা
 
						 
																					
 
		
		
		
	 
		
		
		
	 
		
		
		
	