অরুন্ধতী নক্ষত্রকে আকাশের অন্ধকারে খুঁজে পাওয়া কঠিন; তার যে-জ্যোতি পৃথিবীতে এসে পৌঁছোয় সে-জ্যোতি বড় সূক্ষ্ম, বড় ক্ষীণ। অথচ, আমাদের দেশে প্রথ ছিল বিবাহরাত্রে নববধুকে সেই নক্ষত্র দেখানো। এই দুরূহ কাজ সহজে সেরে নেবার জন্যে প্রাচীনেরা এক উপায় আবিষ্কার করেছিলেন। অরুন্ধতীর কাছাকাছি আকাশে যে উজ্জ্বলতর নক্ষত্র চোখে পড়ে তার দিকে নববধুর দৃষ্টি আকর্ষণ করে প্রথমে বলা হত : ওই দেখ অরুন্ধতীর উপর নিয়ে যাওয়া কঠিন হত না। লোকব্যবহারের এই উপমা দিয়ে প্রাচীনেরা দর্শনশাস্ত্রেও একটি পদ্ধতির প্রচলন করেছিলেন, সে-পদ্ধতির নাম তাই অরুন্ধতী-ন্যায়। বক্তব্য যেখানে বেশি জটিল, বেশি সূক্ষ্ণ, সেখানে প্রথমেই পাঠককে তার মধ্যে টেনে আনতে গেলে বিভ্রান্তির সম্ভাবনা—অপেক্ষাকৃত স্থূল কথা দিয়ে আলোচনা সুরু করে ক্রমশ সূক্ষ্মের দিকে অগ্রসর হওয়াই শ্রেয়।
আধুনিক য়ুরোপীয় দর্শন
দেবী প্রসাদ চট্টোপাধ্যায়
বিশ্বভারতীয় গ্রন্থালয়
২ বঙ্কিম চ্যাটার্জী ষ্ট্রীট, কলিকাতা
প্রথম প্রকাশকাল : ১৯৪৬
প্রকাশক : পুলীনিবহারী সেন
Reviews
There are no reviews yet.