বাংলা দৈনিক পত্রিকা (২৩শে মার্চ, ১৯৭২) বর্ষীয়ান নেতার বিরুদ্ধে সি আই এ – ও চীনের যোগসাজসে স্বাধীনতা নস্যাতের কুৎসাপূর্ণ কাল্পনিক কাহিনী প্রচার করে।
সাংবাদিক সম্মেলনে মওলানা তার দাঁতভাঙ্গা জবাব দিয়েছেন।
‘আজ মানুষ বুঝতে পেরেছে, মহাদুর্ভিক্ষেও সমাজে এমন একটি শ্রেণী থাকে, যাদের খাওয়া-পরায় কোন অসুবিধা হয়না। সেই শ্রেণী উৎখাত করতে মানুষ অস্ত্র ধরতেও শিখেছে।’
সব মিছিলের জবাব বক্তৃতায় দেওয়া যায়। কিন্তু ভুখা মিছিলের ভাত ছাড়া, কোন জবাব নাই। সেই মিছিলে যে ক্ষুধার আগুন জ্বলে, তাহা জমজমের পানিও নিভাইতে পারেনা।
‘জালেম শোষক যে কোন দেশের যে কোন বর্ণের বা ধর্মের, যে কোন মতবাদের হোক না কেন, তারা সবাই এক শ্রেণীভুক্ত এবং তাদের স্বার্থ অভিন্ন। মজলুম শোষিত মানুষ, সে যেখানে বাস করুক না কেন, তারা এক শ্রেণীভুক্ত ও তাদের স্বার্থ অভিন্ন। দুনিয়াব্যাপী মজলুম জনতার ঐক্যই জালেম
শোষক শ্রেণা ধ্বংস করিতে পারে।’
আমাকে ফাঁসি দাও
মওলানা ভাসানী
বাঙলাদেশের স্বাধীনতার পর মওলানা ভাসানীর প্রথম সাংবাদিক সম্মেলন।
স্থান : হোটেল পূর্বানী, ঢাকা।
তারিখ : ২৪শে মার্চ, শুক্রবার ১৯৭২
বদিউল আলম ও নূরুল হক কর্তৃক প্রচারিত।
মূল্য : পঁচিশ পয়সা
