দ্বান্দ্বিক ও ঐতিহাসিক বস্তুবাদ
মার্কসবাদী-লেনিনবাদী পার্টির দৃষ্টিভঙ্গি হল দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদ। একে দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদ বলা হয়, কারণ বস্তুজগতের ঘটনাপ্রবাহের প্রতি এর দৃষ্টিভঙ্গি ও সেগুলোকে বিশ্লেষণ ও ব্যাখ্যা করবার এর পদ্ধতি হল দ্বান্দ্বিক আর বস্তুজগতের ঘটনাপ্রবাহের ব্যাখ্যা, সে সম্পর্কে এর ধারণা ও তত্ত্ব হল বস্তুবাদী সমাজজীবনের অনুশীলনে দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদের নীতিগুলির প্রয়োগকে বলা হয় ঐতিহাসিক বস্তুবাদ ; সমাজজীবনের ধারা, সমাজ ও তার ইতিহাসের অনুশীলনে দ্বান্দ্বিক নীতিগুলির প্রয়োগ হল ঐতিহাসিক বস্তুবাদ।
মার্কস, এবং এঙ্গেলস, তাঁদের দ্বান্দ্বিক পদ্ধতি বর্ণনা প্রসঙ্গে প্রায়শই উল্লেখ করেছেন যে হেগেলই প্রধান প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলি সূত্রবদ্ধ করেন। অবশ্য এর অর্থ এই নয় যে, মার্কস, ও এঙ্গেলসের দ্বন্দ্বতত্ত্ব এবং হেগেলের দ্বন্দ্বতত্ত্ব একই জিনিষ। প্রকৃতপক্ষে মার্কস, ও এঙ্গেলস, হেগেলীয় দ্বন্দ্বতত্ত্বের কেবল “যুক্তিসিদ্ধ সারাংশটি ” গ্রহণ করেছেন, তারা হেগেলীয় ভাববাদের খোলসটি বর্জন করেছেন এবং দ্বন্দ্বতত্ত্বের আরো সমৃদ্ধি ঘটিয়ে তাকে আধুনিক বৈজ্ঞানিক আকার দান করেছেন।
মার্কস বলেছেন, “আমার দ্বান্দ্বিক পদ্ধতি হেগেলীয় পদ্ধতি থেকে কেবলমাত্র স্বতন্ত্রই নয় বরং ঠিক তার বিপরীত । হেগেলের কাছে বিষয়টি হল এই যে…মনন পদ্ধতি, যাকে হেগেল “মানস” নাম দিয়ে সেটাকে এমন কি এক স্বাধীন সত্ত্বায় রূপান্তরিত করেছেন, সেই মনন পদ্ধতি হল বস্তুজগতের স্রষ্ট। আর বস্তুজগৎ হল কেবলমাত্র এই ‘ মানসের
দ্বান্দ্বিক ও ঐতিহাসিক বস্তুবাদ
জোসেফ স্ট্যালিন
প্রকাশনা :এম, আবদুল হক
প্রকাশ ভবন
৫, বাংলা বাজার, ঢাকা–১
মুদ্রণ : এম, এইচ, চৌধুরী
সুলেখা প্রিন্টিং প্রেস
১৬/১, জিন্দাবাহার ১ম লেন, ঢাকা-১
প্রথম প্রকাশ : জানুয়ারী : ১৯৭৯
দাম : দুই টাকা
Reviews
There are no reviews yet.