তাহলে আর রক্ষে নেই !
কথায় বলে কাজের সময় কাজী, কিন্তু আমার কাজিনরাও কিছু কম কাজের নন।
আমার সাত মাসি মিলে সাঁইত্রিশটি কাজিনরত্ন দিয়েছিলেন আমায়। হী-কাজিনদের বাদ দিয়ে কেবল শী কাজিনদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সাতাত্তরটা ভাগনে আর ভাগনিরত্ন আমি পেয়েছি।
বোন চিরকালই কিছু বোন থাকে না, ক্রমেই গভীর হয়, গভীরতর হয়ে অরণ্যে দাঁড়ায়। আর, অরণ্যমাত্রই শ্বাপদসঙ্কুল । সেই অরণ্যের ভেতর থেকে আস্তে আস্তে হিংস্র জীব জন্তুরা বেরুতে থাকে। ভাগনে ভাগনিরা দেখা দেয়।
‘বন থেকে বেরুলো৷ টিয়ে সোনার টোপর মাথায় দিয়ে।’- শোনা ছিল উপকথায়। কিন্তু বোনের সেই টিয়েদের যে কখনো চোখে দেখতে পাব কোনোদিন কল্পনা করিনি। চোখা হয়ে একে একে তারা দেখা দিতে লাগল।
অবশ্যি, ভাগনিদের আমি হিংস্র প্রকৃতির বলতে চাইনে । আমার ভাগনিদের মতন মিষ্টি আর হয় না। কিন্তু ভগ্নীর থেকে কেবল ভাগনি পাবে এমন ভাগ্য নিয়ে কজন আসে ? ভাগনির সঙ্গে ভাগনের ভ্যাজাল এসে জোটেই। ভ্যাজাল ছাড়া কি কিছু আছে আজকাল ?
আমার বোনরা উপবনের মতন সুরভিত। আর, ভাগনিরা ত আবার খাবোর মতই উপাদেয়। আর ভাগনেরা ? আহা, তারা যদি ভাগলপুরের মত সুদূরপরাহত হত!
অবশ্যি, সাতচল্লিশটা ভাগনের সবাই সমান দুর্ধর্ষ নয়। আর সবাই কিছু একসঙ্গে হানা দেয় না। একসঙ্গে কি কারো পেট ভাগনে যদি ভাগ্যে থাকে…
ভাগনে যদি ভাগ্যে থাকে
শ্রীশিবরাম চক্রবর্ত্তী
শিব্রাম চক্রবর্তির বইএর দোকান
কলেজ স্ট্রীট মার্কেট, কলিকাতা-১২
পুনর্মুদ্রিত সংস্করণ : ৩রা আষাঢ় ১৩৭৯
প্রকাশক : শ্রীগোপালচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়
শিব্রাম্ চকরবরতির বইএর দোকান, কলিকাতা-১২
মুদ্রক : শ্রীবীরেশ্বর চক্রবর্ত্তী
স্ট্যাণ্ডার্ড আর্ট প্রিন্টার্স
১১৫এ আমহার্ষ্ট স্ট্রীট কলিকাতা-৯
প্রচ্ছদ : শ্রীশৈল চক্রবর্ত্তী
দাম : তিন টাকা
