জীবনী লেখার একটা প্রচলিত ধারা আছে। মাসীমার জীবন-কথা লিখতে গিয়ে আমি সেই ধারাটাকে যথাযথভাবে মেনে চলিনি। মাসীমার কাছে তাঁর জীবনের বহু কাহিনী শুনেছি, তাঁর কিছু মনে আছে, আবার অনেক কথা ভুলেও গেছি। টুকরো টুকরো কাহিনীগুলি যেভাবে মনে আছে সেই ভাবেই তুলে ধরেছি। তার ফলে শৃংখলার বাঁধনটা সব জায়গায় অক্ষুণ্ণ থাকেনি। স্থানে স্থানে পুনরাবৃত্তি দোষও ঘটেছে। সেজন্য ক্ষমা প্রার্থী।
মাসীমার কথা লিখতে গেলে অনেক কথাই এসে যায়। তবে তাঁর দৃঢ় আদর্শ নিষ্ঠা, সংগ্রামী মনোভাব এবং মানুষের প্রতি তাঁর প্রাণ ঢালা ভালবাসা আমাকে সবচেয়ে বেশী বিস্মিত, মুগ্ধ ও অভিভূত করেছে। যে কর্মীরা তাঁর ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে থাকবার সুযোগ পেয়েছেন তারা ভাগ্যবান। মাসীমার জীবন চিরদিন তাদের কাছে প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে। জীবনের প্রত্যন্ত দেশে এসে মাসীমার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে পরিচিত হবার সুযোগ লাভ করেছি। সেজন্য আমি নিজেকে ভাগ্যবান বলে মনে করি।
মাসীমা একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংশিষ্ট হলেও তিনি দলমত তাঁর নির্বিশেষে বহু লোকের শ্রোদ্ধা ও ভালবাসা পেয়ে আসছেন। মহিমাময় জীবন সাড়া দেশের প্রগতিশীল কর্মীদের জন্য চির-উজ্জ্বল উত্তরাধিকার হয়ে থাক।…
– সত্যেন সেন
মনোরমা মাসিমা
সত্যেন সেন
প্রকাশক : কে, এম, ফারুক খান
৬৭, প্যারীদাস রোড, ঢাকা – ১
প্রথম প্রকাশ : ১৪ই অগাষ্ট, ১৯৭০
প্রচ্ছদ : হারাধন বর্মণ
মুদ্রণে : এম, এ, হাশিম
চাবুক প্রিন্টিং এ্যাণ্ড পাবলিশিং হাউস
৯১, তাঁতিবাজার, ঢাকা–১
মূল্য : দশ টাকা মাত্র
