সত্যি কি ‘এপিটাফ’ লেখার বয়সে পৌঁছে গেলেন শক্তি চট্টোপাধ্যায়’? কেন এই কাব্যগ্রন্থের শেষ কবিতায় তিনি লিখে যাবেন স্মৃতিফলকে উৎকীর্ণ করার জন্যে কয়েকটি করণেরঙীণ পক্তি য৷ আৰ্দ্ৰ ও সজল করে তুলবে পাঠকের চোখ? পত্র-পত্রি- কায় সম্পূর্ণ অপ্রকাশিত ‘এপিটাফ’ নামের অসামান্য কবিতাটিতেই শধ নয়, এই নতন কাব্যগ্রন্থের বহ, কবিতাতেই বিধৃত এক মৃত্যু-চেতনা৷ এই গ্রন্থের নাম কবিতায় তিনি শানিয়েছেন সেই ভয়- কর অভিজ্ঞতার কথা যখন চাঁদ এবং চিতাকাঠ তাঁকে ‘আয় আয়’ বলে হাতছানি দেয়। কিন্তু আমাদের সৌভাগ্য যে, এই চেতনাই শেষ কথা নয়। এ-ছাড়াও রয়েছে এক গার্হস্থ্য পিছটান যা তাঁকে দিয়ে বলিয়ে নেয়—‘যেতে পারি। যে-কোনো দিকেই আমি চলে যেতে পারি / কিন্তু কেন যাবো? / সন্তানের মুখে ধরে একটি চুমো খাবো।’ ঈশ্বর তাঁকে দীর্ঘজীবী করুন। কেননা, এখনই তো সেই পরিণতির সম্পন্ন সময় যখন তিনি জানেন, ‘ভাঙারও নিজস্ব এক ছন্দ আছে।’ জানেন, ‘অপর,পভাবে ভাঙাগড়ার চেয়েও মূল্যবান কখনো সখনো।’ সেই অপরূপ ভাঙা- গড়ারই কিছ, অনবদ্য নিদর্শন নিয়ে প্রকাশিত হলে৷ শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের এই কাব্যগ্রন্থ।
যেতে পারি কিন্তু কেন যাবো
শক্তি চট্টোপাধ্যায়
প্রথম সংস্করণ : কলকাতা মার্চ— ১৯৮২
প্রথম বাংলাদেশ সংস্করণ : ফেব্রুয়ারী ১৯৮৫
দ্বিতীয় মুদ্রণ : আগস্ট ১৯৮৬
প্রকাশনায় : নওরোজ সাহিত্য সংসদ
ঢাকা’র পক্ষে কুমারী তানজিলা মেহের নন্দিতা, ৪৬ বাংলাবাজার ঢাকা-১
প্রচ্ছদ : নীল শীল
মূল্য : বিশ টাকা মাত্র