বিশ্ব সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থ!, পৃথিবী গ্রহের শান্তি ও বিশ্ব মানবতার মূল জুলমন- সাম, যজ্যবাদের ঘৃন্য ষড়যন্ত্রে তগানস্তিন পাকিস্তানের শাসক-শোষক গোষ্ঠী আমাদের দেশকে উপনিবেশিক ধরণের শোষণের অভিষ্ঠ লক্ষ্য চারণভূমি হিসাবে চিরস্বায়ী করার জন্য দ্বি-জাতিতত্ত্বের কৃত্রিম সফলতার স্বপ্নে বিভোর হয়ে দ্বিতীয় পদক্ষেপে সুপরিকল্পিতভাবে জাঘাত হানে বাঙালী জাতির মুখের ভাষা “বাংলা”র উপর। আর এ হীন চক্রান্তের বিরুদ্ধে এ দেশে আত্মত্যাগী সচেতন দেশপ্রেমিক সংগ্রামী রাজনৈতিক ও ছাত্র নেতৃবৃন্দের উদ্বোগে সংগ্রামী ছাত্র সমাজ ও জনতা প্রতি বাদের ঝড়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। সেই প্রতিরোধে শাসকের চিত কাপতে থাকলে তারা মরিয়া হয়ে জনতার মিছিলে গুলি চালিয়ে ঢাকার রাজপথ রক্তে লালে লাল করে তোলে বাহারের ফের যারীতে। সেই রক্ত চুয়ে বাঙাগী জাতি অসাঙ্গ- দায়িক চেতনার ভিত্তিতে ভাষার রাষ্ট্রীয় মর্য্যাদা ও গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং শোষণবিরোধী আকাঙ্খা দিয়ে যে অভিযাত্রা শুরু করেছিল সে পথ ধরে ৫৪.৫২, ৫৬, ৫৯, ৭০ এর গণজোয়ার এবং ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের ভিতর দিয়ে মিথ্যা দ্বিজাতিতদের কবরের উপর জন্মলাভ করেছে এ জাতীয় স্বাধীন দেশ- বাংলাদেশ। স্বাধীনতার এগারো বছরে অনেক উত্থান পতনের ভিতর দিয়ে দেশে যে শুখতা ও সংকট সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে শাসক মহলের অবস্থানগত কারণে সেই ৫২ ও ৭১ এর পরাজিত দেশীয় আন্তর্জা তিক শত্রুরা আবার মরিয়া হয়ে উঠেছে এবং একত্রিশ বছরের প্রতিষ্ঠিত বাঙালী জাতির চিরাচরিত ঐতিহ্য এবং ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মৃতির নিদর্শন তা ছাড়া দেশের বাণিজ, শিল্প শিক্ষা, শহীদ স্পিনার ধ্বংসের পায়তারা করছে। কৃষি ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে যে গণবিরোধী নীতিসমূহ গৃহীত হয়েছে তারই প্রতিবাদে গর্জে উঠেছে বাংলাদেশ। আবার রক্তে লাল হয়েছে এ ফেব্রুয়ারী।
রক্তলাল ফেব্রুয়ারী শিক্ষা দিয়েছে মাথা নত না করতে। আর সে পথ ৰঙেই। চলবো। প্রতিক্রিয়ার দুর্গ ভেঙ্গে শোষণ মুক্ত সমাজ বন্ধ। সমাজতন্ত্র অবোই।
রক্তলাল ফেব্রুয়ারী
একুশে প্রকাশনা- ১৯৮৩ ইং
আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারী
বন্ধু, সুতীক্ষ্ণ কর চিত্ত বাংলার মাটি দুর্জয় ঘাটি বুঝে নিক দূর্বিত
সম্পাদনা: হারুন অর রশীদ লাল
মুদ্রণ করেছেন :সারদা প্রেস, কুড়িগ্রাম
মহান একুশ উৎযাপন কমিটি
কুড়িগ্রাম
