জাঁ পল সার্ত্রে ও এই নাটক সম্পর্কে দুটি কথা
ফরাসী দার্শনিক, কথাসাহিত্যিক ও নাট্যকার জাঁ পল সার্ত্রে বিংশ শতাব্দীর বিশ্বের বুদ্ধিজীবী গগন তাঁর অমিতপ্রভা উজ্জ্বল রঙে আলোকিত করে রেখেছিলেন। অস্তিত্ববাদী দর্শনের সবচেয়ে শক্তিশালী প্রবক্তা হিসেবে তিনি দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের পরবর্তীকালে বুদ্ধিজীবী সমাজে প্রবল আলোড়ন তুলতে সক্ষম হয়েছিলেন। চিন্তাবিদ হিসেবে তাঁর এই নিগূঢ় জীবনবোধ তাঁর প্রবন্ধাবলী, উপন্যাসমালা, ছোটগল্প ও বুদ্ধিপ্রধান নাটকগুলোতে ঝলসিত হয়ে উঠেছিল। তাঁর সমসাময়িককালের ফরাসী বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে শুধুমাত্র প্রকাশভঙ্গি ও চিন্তাধারাতেই নয়, ব্যক্তিগত উদ্যোগ ও ব্যবহারেও তিনি ছিলেন এক অনন্য যোদ্ধা ৷
১৯০৫ সালের ২১শে জুন প্যারিতে তাঁর জন্ম হয়। শৈশবে তিনি পিতাকে হারিয়ে মাতামহের গৃহে লালিতপালিত হয়েছিলেন। তাঁর মাতামহ ছিলেন কার্ল সিউজ্জা – যিনি চিকিৎসা মিশনারী আলবার্ট সিউজ্জারের পিতৃব্য ছিলেন।
তিনি নিজে শৈশবের ছিলেন প্যারির সরবোনের জার্মান ভাষায় প্রফেসর। অনাদরে নিগ হিত দিনগুলোতে বালক সার্ত্রে প্যারির লুক্সেমবুর্গ উদ্যানে খেলার সাথী জোগাড় করার জন্যে ইচ্ছামত ঘুরে বেড়া- তেন ৷ তখন এই ছোটমত চেহারার ট্যারা বালকটি কতখানেই না ঘা খেয়ে ফিরে আসতো। পরবর্তীকালে তাঁর আত্মজীবনীর লে মো’তে (ইংরেজিতে দি ওয়ার্ডস নামে অনূদিত) এই সম্পর্কে তিনি এবং তাঁর মায়ের যাবতীয় এডভ্যাঞ্চারের বিস্তারিত কাহিনী বর্ণনা করেছেন। এতে দেখা যায় লুক্সেমবুর্গ উদ্যানে একের পর এক গ্রুপের কাছে ঠাই পাবার জন্যে তিনি ধর্ণা গিয়ে ফির- ফলে দিনের শেষে তেন, কিন্তু তারা তাঁদের গ্রহণ করেনি। তাদেরকে সাততলার ছোট্ট ফাটে ফিরে আসতেই হতো। শৈশবের এই অনাদরের দিনগুলোতে বাইরের পৃথিবী থেকে পরিত্যক্ত হয়ে সেই স্বপ্নের জগতেই তাঁকে ফিরে আসতে হতো।
আর এ নিয়ে…
রুদ্ধদ্বার কক্ষে
জাঁ-পল সার্ত্রে
স্টুয়ার্ড’ গিলবার্ট কর্তৃ ক ইংরেজিতে অনুদিত
বাংলা অনুবাদ : নুরুল ইসলাম খান
বাংলা একাডেমী : ঢাকা
প্রথম প্রকাশ : অগ্রহায়ণ ১৩৯২
ডিসেম্বর ১৯৮৫
পাণ্ডুলিপি : ভাষা ও সাহিত্য উপবিভাগ ১৭/৮৫-৮৬
প্রকাশক : বশীর আলহেলাল পরিচালক
ভাষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও পত্রিকা বিভাগ
বাংলা একাডেমী, ঢাকা
মুদ্রণে : ইসলামিয়া প্রেস
৪/৫ খিলগাঁও চৌধুরীপাড়া, (হাজীপাড়া) ঢাকা-১৭
প্রচ্ছদ : মামুন কায়সার
মূল্য : তিরিশ টাকা
Reviews
There are no reviews yet.