১৯৩০ সাল।
আগনঝরা চট্টগ্রাম।
সূর্য সেনের শাণিত দৃষ্টিতে জ্বলজ্বল করে স্বাধীনতার সূর্য।
আইন অমান্য আন্দোলনের প্লাবনে তখন সারা ভারতের মত্তিকামী জনতা রাজপথে নেমেছে। অন্যদিকে সমদ্রের উত্তাল আবেগ কে নিয়ে সমদ্রকন্যা চট্টলার বিপ্লবী সন্তানরা গোপনে আয়োজন করছিল সশস্ত্র বিপ্লবী অভ্যুত্থানের। দ’টো ঘটনার মধ্যে অদ্ভূত যোগসাজস ছিল। ছিল প্রচণ্ড প্রাণাবেগ। লক্ষ্য ছিল এক—বন্দী ভারতের স্বাধীনতা।
অবশ্য “…প্রধান বিপ্লবী নেতারা কখনও ভাবেননি যে, নিজেদের শক্তি বলে চট্টগ্রামকে বৃটিশ করল মক্ত করার দ্বারাই ভারতের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা হবে। পরাধীনতার শৃঙ্খল ছিন্ন করার কঠোর সংগ্রামে বিরাট এক ধাপ এগিয়ে যাবার জন্যই সূর্য সেনের নেতৃত্বে চট্টগ্রামের বিপ্লবীদল সশস্ত্র অভ্যূত্থানের এই আয়োজন করেছিল।”১
বিপ্লবীদের এই চিন্তাকে কেন্দ্র করে ঘটনার ডামাডোলে জ্বলছিল চট্টগ্রাম। জলছিল দাউ দাউ করে। আর তারই ফলশ্রুতি হিসেবে ১৮ই এপ্রিল, ১৯৩০ সালে চট্টগ্রামের বনকে সূর্যসেনের নেতৃত্বে ইতিহাসের মহাযজ্ঞের এক ছোট অধ্যায় রচিত হয়।
ঘটনা এগিয়ে যায়।
চট্টগ্রামের বাতাসে মিশে থাকে বিস্ফোরণের স্ফুলিঙ্গ। আর সেই স্ফুলিঙ্গের ছোট একটি কণা কে নিয়ে জন্মেছিল এ, কে, এম, শহীদল্লাহ । সংক্ষেপে শহীদ সাবের। কক্সবাজারের অখ্যাত গ্রাম ঈদগাঁর ১৮ই ডিসেম্বরের এক শীতার্ত দিন তার সাক্ষী। ১৯৩০ সালের সেই বিস্ফোরণের আগন শহীদ সাবেরকে স্পর্শ করেনি ঠিক কিন্তু সময়ের গতি তাকে চিহ্নিত করেছিল এক ব্যতিক্রমী প্রতীক হিসেবে। ঈদগাঁর শান্ত অনাবিল গ্রামীণ জীবনের নারকেলী-হাওয়ার সন্ধ্যায় সূর্য সেন তখন কিংবদন্তীর নায়ক। মা’র ঘুম-পাড়ানিয়া গানের কণ্ঠে ভেসে আসে বদলেটের শব্দ। বারুদের গন্ধ। তিরিশের ঘটনা ও শহীদ সাবেরের জন্মলগ্ন এ সময়টা তার জীবনের দিকদর্শন ইশারা। নইলে শহীদ সাবের আরো দশজন সাধারণ মানষের মত বৃহৎ জনারণ্যে হারিয়ে যেতো।
১. স্বাধীনতা সংগ্রামে চট্টগ্রাম : পূর্ণেন্দু দস্তিদার, পূঃ ১০৩।
শহীদ সাবের রচনাবলী
সেলিনা হোসেন সম্পাদিত
বাংলা একাডেমী
প্রথম প্রকাশ : অগ্রহায়ণ ১৩৮৮
নভেম্বর ১৯৮১
বা/এ ১১৮৩
পাণ্ডুলিপি সংকলন বিভাগ
প্রকাশনায় : আল-কামাল আবদুল ওহাব
পরিচালক
প্রকাশনা বিক্রয় বিভাগ, বাংলা একাডেমী, ঢাকা
মুদ্রণে : বাংলা একাডেমী প্রেস
ঢাকা
মূল্য : মাত্র ষাট টাকা
Reviews
There are no reviews yet.