বাংলাসাহিত্যে প্রগতির কথা প্রায়ই শোনা গেছে। এবারে মনে হয় কথাটা বিশেষ একটা অর্থেই উঠেছে। তার একটা কারণ অবশ্যই মনের আবহাওয়ায় ; কয়েক বছর যে প্রত্যক্ষের দিকে বৈজ্ঞানিকমনা ঝোঁক দেখা যাচ্ছে, সেই ঐতিহাসিক দৃষ্টির প্রসার। তাছাড়া লেখকেরা যে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছেন, তার থেকেও লেখার বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বলা যেতে পারে যে আমাদের সাহিত্যের শৈশব অতিক্রান্ত এবং সাহিত্যিকরা আজ বিষয় ও কলাকৌশল, ভাব ও রূপের অভিন্নতায় সন্দেহহীন। কলাকৌশল বা টেকনিকের প্রগতি নির্ভর করে মানসের ব্যাপ্তি বা রূপান্তরে। আর এই মনের মানচিত্রে সৃষ্টির আবেগ থাকবে কি করে যদি সে জীবনের দিকে না তাকায়? সাধারণের জীবনেই তো এ মানসসরোবরের উৎস, যদিচ তার নীল জলে আকাশের ছবি প্রতিফলিত। এই উৎসের সন্ধান কেউ হয়তো জীবনযাত্রার কর্মধারায় পান, কেউ জনগণমন-অধিনায়কদের খাঁজে পান ইতিহাসের দ্বন্দ্বময় প্রগতিতে ।
সাহিত্যের ভবিষ্যৎ
বিষ্ণু দে
সিগনেট প্রেস ৷ কলকাতা ২০
প্রথম সিগনেট সংস্করণ : আশ্বিন ১৩৫৯
প্রকাশক : দিলীপকুমার গুপ্ত
সিগনেট প্রেস, ১০। ২ এলগিন রোড
কলকাতা ২০
প্রচ্ছদপট : সত্যজিৎ রায়
সহায়তা করেছেন :
পীযূষে মিত্র
শৈলেন্দ্রনাথ গহরায়, শ্রীসরস্বতী প্রেস লি
৩২ আপার সারকুলার রোড
বাঁধিয়েছেন : বাসন্তী বাইন্ডিং ওয়ার্কস্
৬১।১ মির্জাপর স্ট্রিট