মানুষ মানুষকে শোষণ করবে, নিপীড়ন করবে, নির্যাতন করবে, তা কি করে হয়? শুধু শোষণ-বৈষম্য ও নির্যাতনই নয়, ধর্ম-বর্ণ-শ্রেণি-জাতপাতের প্রশ্নই মুখ্য- সব মানুষ এক নয়, তা কি করে হয়? মানবসভ্যতার ঊষালগ্ন থেকে ঊনবিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি পর্যন্ত যা অব্যাহত ছিল। ১৮৪৮ খ্রিষ্টাব্দে মার্কস-এঙ্গেলস কমিউনিস্ট ইশহেতারে ঘোষণা করলেন সেই অব্যাহত গতিকে রোধ করার মন্ত্র- শুধু ব্যাখ্যা নয়, প্রয়োজন পৃথিবীকে বদলানোর- শোষণ-বৈষম্যহীন মানবসমাজ নিমার্ণের দার্শনিক সূত্র।
পরবর্তীতে মহামতি লেনিন বাস্তবায়ন করলেন সেই দার্শনিক সূত্র।
লেনিনের দুনিয়া সমাজতান্ত্রিক রাশিয়া প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর গোটা বিশ্বকে শোষণমুক্তির দর্শন ও সংস্কৃতির যে নবযাত্রায় যুক্ত করেছিলেন, সেক্ষেত্রে যাঁরা যাঁরা অবদান রেখেছিলেন, তাঁদের মধ্যে কবি-সাহিত্যিক অন্যতম।
বিংশ শতাব্দীর সাহিত্য এযাবৎ কালের সাহিত্য থেকে অধিকতর মানবতামুখী, এর প্রধান কারণ শোষণ-বৈষম্যহীন সমাজতান্ত্রিক মতাদর্শ ও দর্শন। কবিতায় উঠে আসে শোষণ-বৈষম্যহীন সমাজের প্রতিচ্ছবি ও মানুষের মুক্তির জয়গান।
সাম্য-ভালোবাসার পৃথিবী ও সমাজ নির্মাণে সাহিত্য ভূমিকা রেখে চলেছে। কবিতাÑ সাহিত্যের অংশ। এই শতাব্দীর কবিতায় স্বাধীনতা সাম্য বিপ্লবের চিত্র ফুটে উঠেছে। কবিতা বলে দিচ্ছে মানুষের সাথে মানুষের সম্পর্ক, উৎপাদনের সম্পর্ক, সমাজের সম্পর্ক, রাষ্ট্রের সম্পর্ক- কি রূপ হওয়া উচিত? শোষণ-বঞ্চনার ইতিহাসকে প্রত্যাখ্যান করে সাম্য ও ভালোবাসার সমাজকে প্রতিষ্ঠিত করার অনুঘটক হিসেবে কাজ করছে কবিতা।
স্বাধীনতা সাম্য বিপ্লবের কবিতা যাঁরা লিখেছেন এবং যাঁরা মূলত স্বাধীনতা-সাম্য ও বিপ্লবের কবি এমন তিনজন পথিকৃৎতের কয়েকটি কবিতার অনুবাদ একত্রিত করে বিপ্লবী রণেশ দাশগুপ্ত ‘স্বাধীনতা সাম্য বিপ্লবের কবিতা’ নামে একটি কবিতার বই সম্পাদনা করেন।
বইটির গুরুত্ব বিবেচনা করে তরুণদের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য বিপ্লবীদের কথা প্রকাশনা প্রথম সংস্করণ প্রকাশ করছে।
শেখ রফিক, নভেম্বর ২০১৫
স্বাধীনতা সাম্য বিপ্লবের কবিতা
রণেশ দাশগুপ্ত
প্রকাশক : বিপ্লবীদের কথা প্রকাশনা
২ কমরেড মণি সিংহ সড়ক, মুক্তি ভবন নিচ তলা
(কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়) পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০
সেল: ০১৭২৬-১২৩৫৫০
স্বত্ব : বিপ্লবীদের কথা
প্রকাশকাল : নভেম্বর ২০১৫
প্রচ্ছদ : মেহেদী বানু মিতা
আইএসবিএন : ৯৭৮-৯৮৪-৯১২৫৮-৩-৯
মূল্য : ১০০ টাকা
ই-বুক মূল্য : ২০ টাকা